![shafar_WorldBank bankbima.xyz](https://bankbima.xyz/wp-content/uploads/2021/12/shafar_WorldBank.png)
নিউজ ডেস্কঃ বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শাফার বাংলাদেশে সপ্তাহব্যাপী সফর শেষে কোভিড-১৯ মহামারী কাটিয়ে বাংলাদেশে স্থিতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি পুনরুদ্ধারে ব্যাংকের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শাফার এখানে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতকালে কোভিড-১৯ মহামারী নিয়ন্ত্রণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করে গৃহীত সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।
তিনি কপ২৬ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শক্তিশালী ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন।
শাফার বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ও অর্থনীতির সহিষ্ণুতা লক্ষ্যণীয়। কোভিড-১৯ মহামারী দেশে কঠোর আঘাত হানলেও সরকারের সক্রিয় ব্যবস্থাগুলো মূলত ভাইরাস প্রতিরোধ করেছে এবং অর্থনীতি ঘুরে দাড়াতে শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে টেকসই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ লক্ষ্যে শক্তিশালী সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারী খাত, অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশ, দক্ষ শ্রমশক্তি গড়ে তুলতে সময়োপযোগী নীতিগত পদক্ষেপের প্রয়োজন হবে এবং একই সাথে জলবায়ু সহিষ্ণুতার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
বিশ্বব্যাংক গ্রুপ বাংলাদেশের জন্য তাদের নতুন কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক (সিপিএফ) প্রণয়ন করতে শুরু করছে যা ২০২৩-২০২৭ সাল পর্যন্ত দেশটিকে সহায়তার নির্দেশনা দেবে। সরকার এবং অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে বৈঠকে শাফার বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকার সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিশ্বব্যাংক কিভাবে টেকসই উপায়ে সহায়তা দিতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
শেফার বলেন, বাংলাদেশ অনুপ্রেরণাদায়ক উন্নয়ন সাফল্যের নজির। তিনি বলেন, যেহেতু দেশটি ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার জন্য কাজ করছে, বিশ্বব্যাংক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে প্রতিটি পদক্ষেপে থাকবে, যা বাংলাদেশের জনগণের জন্য আরও সবুজ, আরও স্থিতিশীল এবং আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে।
আশুগঞ্জে তিনি একটি আধুনিক ইস্পাত সাইলো কমপ্লেক্স নির্মাণ স্থল পরিদর্শন করেন। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে আটটি আধুনিক ইস্পাত সাইলো কমপে¬ক্স নির্মাণে সহায়তা করছে। এই সাইলোগুলো তিন বছর পর্যন্ত পুষ্টির গুণমান বজায় রেখে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫০০ টন চাল ও গম সংরক্ষণ করতে পারে।