জি.কে দিলু, ঢাকা : ক্রেতাদের আস্থা সৃষ্টি, সংকট উত্তরণ ও নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে কাজ করবে ই-কমার্স বিষয়ক এফবিসিসিআই’র স্ট্যান্ডিং কমিটি। কমিটি মনে করে, দেশে ই-কমার্সের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু নানা কারণে ক্রেতাদের আস্থার সংকটে পড়েছে ই-কমার্স খাত। এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত কমিটির প্রথম বৈঠকে এ কথা বলেন কমিটির ডিরেক্টর ইন চার্জ ও ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র পরিচালক মোহাম্মদ আমজাদ হুসেইন চৌধুরী, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল হক, মোঃ সাহাব উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, জিয়া আশরাফ, এম রাশিদুল হাসানসহ অন্যান্য সদস্যরা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান টি আই এম নুরুল কবীর। ব্যাংক ঋণ না পাওয়া, কার্ডের সীমিত ব্যবহার, ক্যাশ অন ডেলিভারিতে অতিরিক্ত নির্ভরতা ও ক্রস বর্ডার ই-কমার্সের কোন নীতিমালা না থাকাকে এ ব্যবসার বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন তিনি।
শমী কায়সার আরো বলেন, কোভিডকালে দেশে ই-কমার্স সেবা কয়েকগুণ বেড়েছে। কর্মসংস্থান হয়েছে অনেক মানুষের। তবে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনায় ই-কমার্সের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। তবে এ সংকট কাটিয়ে উঠতে এরইমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর জন্য ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার দেয়া হবে। এছাড়াও শিগগিরই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকিতে কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সেল গঠন করা হবে।
সরকারের এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশে ই-কমার্স খাতে ক্রেতাদের আস্থা ফিরে আসবে বলে মনে করেন শমী কায়সার। ই-কমার্সের সার্বিক ইকো-সিস্টেমের উন্নয়নে স্ট্যান্ডিং কমিটির পক্ষ থেকে এক বছরের রোডম্যাপ তৈরি করা হবে বলে জানান তিনি।
স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, টেকসই ই -কমার্স তৈরিতে অবশ্যই এ খাতের উদ্যোক্তাদের প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এসময়, ই-কমার্স খাতে স্থিতিশীলতা আনতে নজরদারি আরো বাড়ানোর সুপারিশ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, কার্যকর সাপ্লাই চেইন প্রতিষ্ঠা করা গেলে, ই-কমার্সের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো সহজ হবে।
এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ই-কমার্সের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে এ খাতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি।
মুক্ত আলোচনায় কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা অভিযোগ করেন, ডিজিটাল কমার্স সেলকে এখনো পুরোপুরি কার্যকর করে তুলতে পারেনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ই-কমার্সের এসওপি বাস্তবায়ন হচ্ছে কীনা তা কে তদারকি করবে, তাও এখনো নির্ধারিত হয়নি। ২০৩০ সাল পর্যন্ত ই-কমার্সে কর ও শুল্ক ছাড় ও সরকারি ক্রয়ে ই-কমার্সকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান বক্তারা।