নিউজ ডেস্ক : ঝুঁকিপূর্ণ খাতে বিতরণ করা ঋণ আদায় করতে পারছে না সরকারি-বেসরকারি ১২টি ব্যাংক। এসব ঋণের বিপরীতে প্রভিশনও রাখা হয়নি। যে কারণে বাড়ছে মূলধন ঘাটতি। এসব ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অনিয়ম দুর্নীতির কারণেই ঝুঁকির মুখে বাণিজ্যিক ব্যাংক। মূলধন ঘাটতি থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে ঋণ প্রদান কার্যক্রমও সংকুচিত হয়ে আসবে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও খেলাপি ঋণ আদায়ে জোর দেয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকও মূলধন ঘাটতি পূরনে এসব ব্যাংক –এ মূলধন সরবারাহের প্রতিকূল মত দিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক মূলধন ঘাটতি পূরনে খেলাপী ঋণ আদায়ের বিকল্প দেখছেন না।
ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে আরো সতর্ক হওয়ার পরামর্শ ব্যাংকিংখাত বিশেষজ্ঞদের। ঋণ বিতরণের সময় যথাযথভাবে জামানতের মূল্য যাচাই বাছাইয়ের উপর অভিমত তাদের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুন শেষে মূলধন ঘাটতিতে থাকা ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংক, বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক।
বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে মূলধন ঘাটতি রয়েছে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক।